কাঁকড়ায় বাড়ছে রপ্তানি আয়, সঙ্গে কর্মসংস্থানও

মড়ক-প্লাবনসহ নানা কারণে চিংড়ি চাষের বিকল্প

সাতক্ষীরায় এবার কাঁকড়ার উৎপাদন ভালো, আর দামও ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। মড়ক-প্লাবনসহ নানা কারণে চিংড়ি চাষের বিকল্প হিসেবে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, কাঁকড়া চাষে একদিকে যেমন রপ্তানি আয় বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে কর্মসংস্থানও।

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষ। প্রতি বছরই নতুন নতুন জমি আসছে কাঁকড়া চাষের আওতায়। অল্প জমিতে কম বিনিয়োগে খামার গড়ে তোলা সম্ভব বলে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। তা ছাড়া বাগদা চিংড়ি চাষে ক্ষতিগ্রস্তরা এখন বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এটিকে। এ বছর কাঁকড়ার উৎপাদন ভালো হয়েছে, দামও ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।

চাষিরা বলছেন, প্রথমে কাঁকড়া বাজার থেকে কিনে খামারে এনে কাটিং দেওয়া হয়। তারপর খাঁচায় রেখে তেলাপিয়া মাছ খেতে দিলে ১৫ থাকে ২০ দিন পরে কাঁকড়া খোলস দেয়। এর পর শক্ত কাঁকড়া নরম করা হয়। তারপর বিক্রি।

এক কাঁকড়া বিক্রেতা বলেন, ‘আমাদের ১৬ হাজার কাঁকড়ার বক্স আছে। প্রডাকশান ভালো থাকলে নয় থেকে দশ লাখ টাকা লাভ থাকে। নিজেরা কাজ করলে লাভ বেশি থাকে। দাম ভালো পেলে আরও ভালো হয়। এই এলাকায় কাঁকড়ার চাষ বেশি হয়। এই চাষ নিয়ে সবাই ব্যস্ত। এবার কাঁকড়ার চাষ ভালো ছিল। দামও ভালো ছিল। ‘এ’ গ্রেডের দাম সাড়ে ছয় শ থেকে আট শ টাকা।

কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন মৎস্য কর্মকর্তারা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম সেলিম বলেন, চিংড়ি রপ্তানি আগের তুলনায় কম হওয়ায় কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছে চাষিরা। এবার উৎপাদনও ভালো। আমরা চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। যেহেতু কাঁকড়া রপ্তানিযোগ্য, তাই কাঁকড়া যত চাষ হবে, রপ্তানি তত বাড়বে। কাঁকড়া চাষ বেশি হলে কর্মসংস্থানও বাড়বে।’

সাতক্ষীরায় এখন ৩২১ হেক্টর জমিতে কাঁকড়া চাষ হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার মেট্রিক টন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.