করোনা নিয়ে স্বতন্ত্র তদন্তের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার, চীনের আপত্তি

শিক্ষার্থী ও পর্যটকদের অস্ট্রেলিয়ায় না পাঠানোর হুমকি দিয়েছে চীন। করোনাভাইরাস নিয়ে সম্প্রতি স্বতন্ত্রভাবে তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির এমন ঘোষণার পরই সেখানে শিক্ষার্থী ও পর্যটকদের পাঠানো হবে না বলে সতর্ক করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

সম্প্রতি মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। করোনা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের এমন ঘোষণাকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত চেং জিনগিয়ে।

তিনি অস্ট্রেলিয়াকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা যদি চীনের প্রতি বৈরী আচরণ চালিয়ে যায় তবে চীনের জনগণকে বিশেষ করে দেশটির শিক্ষার্থী ও পর্যটকদের ভ্রমণের বিষয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছ
যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোও এই ভাইরাসের সঙ্গে পেরে উঠছে না। শক্তিধর দেশগুলো প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত চেং জিনগিয়ে। তিনি বলেন, তার দেশ সঠিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাতে চীনাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার মনে হয় এই পরিস্থিতি যদি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যায় তবে লোকজন ভাবতে শুরু করবে যে, আমরা কেন এমন দেশে যাব যারা চীনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নয়?

তিনি বলেন, পর্যটকরা অস্ট্রেলিয়ায় সফরের বিষয়ে দ্বিতীয়বার ভাববে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর বিষয়েও চিন্তা করবেন অভিভাবকরা। বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে যায় শিক্ষার্থীরা। এ থেকে দেশটির অর্থনীতিতে বড় অংকের অর্থ জমা হয়।

চীন থেকেও অনেক শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে যায়। যদি চীন তাদের শিক্ষার্থীদের আর অস্ট্রেলিয়ায় না পাঠায় তবে তা দেশটির জন্য নেতিবাচক হবে বলে উল্লেখ করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.