তামিম-মুমিনুলরা তাদের এক মাসের বেতনের অর্ধেকটাই দিয়েছেন ‘করোনা’ প্রতিরোধ তহবিলে। বসে নেই সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়করাও। ‘৯৭’ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক আকরাম খান মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেন, ‘আপনারা জানেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এরই মধ্যে আর্থিক সহায়তা করেছে। আমরা যারা সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক ক্রিকেটার আছি তারাও কিছু করার চিন্তা করেছি। পরিস্থিতি এমন যে সবাই বিচ্ছিন্ন। তবুও আমি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের সবাইকে নিয়ে করোনায় মানবিক সাহায্য করেতে চাই। দুই-একদিনের মধ্যেই আমরা কয়েকজন বসে কাজ শুরু করবো।
আগে একটি তহবিল গঠন করবো। সেখানে যারা সাবেক ক্রিকেটার আছে তারা নিজেদের সাধ্যমতো অনুদান দেবে- এটাই আশা করি।’
করোনা চিকিৎসা, কিংবা যারা বর্তমানে অভাবে আছেন। কাজ করতে পারছেন না, দরিদ্র তাদের অর্থ দিয়ে কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন আকরাম।
তিনি বলেন, ‘আগে আমরা অর্থ সংগ্রহ করবো। এরপর সেখান থেকে প্রয়োজন বুঝে সাহায্য করবো। সেটা করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসার জন্য হতে পারে আবার যারা এই পরিস্থিতিতে অভাবে আছেন, একেবারেই দরিদ্র কর্মহীন সেই পরিবারগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করবো।’ ক্রিকেট ওয়েলফেরার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) নয়, সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে এটি করবেন বলে জানিয়েছেন আকরাম।
তিনি বলেন, ‘না, কোয়াবের মাধ্যমে নয়। আমি চেষ্টা করছি যে যারা বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেটার আছি। যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তাদের নিয়ে কাজ করতে। যেমন ফারুক ভাই আছেন, নান্নু (মিনহাজুল আবেদিন), দূর্জয় (নাঈমুর রহমান), সুমন (হাবুল বাশার), সুজন (খালেদ মাহমুদ) এদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। এছাড়াও আরো অনেক সাবেক ক্রিকেটার আছেন যারা অনুদান দিতে সক্ষম তারাও আশা করি আমাদের সঙ্গে আসবেন।’
আকরাম খান দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন, যে যার অবস্থান থেকে যেন একে অপরে পাশে দাঁড়ায়। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যে সব করণীয়, তা যেন দেশের সকল মানুষ মেনে চলে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের ছোট্ট একটি প্রচেষ্টা। তবে আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো যেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। একতাই সব বদলে দিতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ, আমরা সকলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বাসায় থাকি। হাত ধোয়া, পরিষ্কার থাকা, যেখানে-সেখানে কফ, থুতু ফেলা থেকে বিরত থাকি। সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা মেনে চলি। একমাত্র আমাদের সচেতনতাই পারে এ বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করতে।’