করোনাভাইরাস: শিশুদের যেসব অভ্যাস গড়া জরুরি
লকডাউনের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান বলছে, শিশুদের মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্তের পরিমাণ তুলনামুলকভাবে কম। কিন্তু তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় জ্বর, সর্দি বা পেটের অসুখের সমস্যার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে একবার গরম, একবার বৃষ্টির এই আবহাওয়ায় শিশুদের ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার কম হলেও এটি প্রতিরোধে সাবধান থাকা জরুরি। এ ব্যাপারে কিছু সতর্কতা নিতে পারেন। যেমন-
১. লকডাউনের সময় বাড়িতে থাকছে বলে শিশুদের মধ্যে মাস্ক পরা ও বার বার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
২. চোখেমুখে হাত দেওয়ার দরকার হলে যেন অবশ্যই তারা হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলে- এটা শেখাতে হবে।
৩. বাড়িতে মাস্ক পরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যাতে স্কুল খুললেও তারা বিষয়টা ধরে রাখতে পারে।
৪. সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে শিশুদের করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের মধ্যে করোনার প্রকোপ অনেক কম হলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে তাদের পেটের সমস্যা ও ডায়ারিয়া, বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে বাইরে থেকে ফিরে পোশাক বদলে এবং পারলে গোসল করে তার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
অনেক শিশুরই নাকেমুখে হাত দেওয়ার বদভ্যাস আছে। লকডাউনের মধ্যে এই বদভ্যাস ছাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সময় ছোট শিশুদের মুখে মুখ দিয়ে আদর করবেন না, চুমু খাবেন না। জ্বর, পেটের সমস্যা ও বমি হলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া শিশুদের সুস্থ রাখতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে হাত ধোওয়ার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ঘরেই তাদের খেলাধুলা করতে উৎসাহিত করতে হবে।

Comments are closed.