করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় শীর্ষে হংকং ও সিঙ্গাপুর
করোনাভাইরাস মহামারীতে সারা বিশ্বেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। কিন্তু কঠিন এ পরিস্থিতির মধ্যেও জনস্বাস্থ্য সেবার মান বজায় রেখেছে বেশ কিছু দেশ। এক্ষেত্রে নেতৃত্বের অবস্থানে রয়েছে এশিয়া।
করোনাভাইরাস মহামারীতে সারা বিশ্বেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। কিন্তু কঠিন এ পরিস্থিতির মধ্যেও জনস্বাস্থ্য সেবার মান বজায় রেখেছে বেশ কিছু দেশ। এক্ষেত্রে নেতৃত্বের অবস্থানে রয়েছে এশিয়া।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশগুলোকেও রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে এ অঞ্চলের একাধিক দেশ। সবচেয়ে দক্ষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ের শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে হংকং ও সিঙ্গাপুর। অর্থ-সম্পদে এগিয়ে থাকলেও এ র্যাংকিংয়ের একেবারে তলানিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও রাশিয়া।
২০১৩ সাল থেকে গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান ও দক্ষতা যাচাইয়ের কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য ব্লুমবার্গ হেলথ-এফিসিয়েন্সি ইনডেক্স। কোনো দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছে তা নির্ধারণে সেসব দেশের স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় ও নাগরিকদের গড় আয়ু খতিয়ে দেখে সংস্থাটি।
চলতি বছরের প্রতিবেদনে বিশ্বের বৃহত্তম ৫৭টি অর্থনৈতিক দেশে করোনাজনিত মৃত্যুহার ও মহামারীকালীন জিডিপির অবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন তৈরিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এতে দেখা গিয়েছে, মহামারীকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশই এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের। তবে মহামারীর পূর্বেও হংকং, সিঙ্গাপুর ও ইসরাইলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শীর্ষে ছিল।
এরপরই রয়েছে স্পেন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, আয়ারল্যান্ড, জাপান, গ্রিস ও অস্ট্রেলিয়া। মহামারীকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও হংকং। এরপরই রয়েছে তাইওয়ান, দক্ষিণ কেরিয়া, ইসরাইল, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও জাপান।
স্বল্প গড় আয়ু, করোনাজনিত উচ্চ মৃত্যুহার ও দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে তালিকার সর্বনিম্নে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র (৫৫), ব্রাজিল (৫৬) ও রাশিয়া (৫৩)।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি রয়েছে ৩৪, ৪১ ও ৪৬তম স্থানে। বিশ্বের শীর্ষ জনবহুল দেশ চীন মহামারী পূর্ববর্তী স্বাস্থ্যসূচকে ২৫তম অবস্থানে থাকলেও কোভিড-১৯ প্রতিরোধী ব্যবস্থাপনার কারণে ১২তম স্থানে চলে আসে।