ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেদিনগুলো আর ফিরবে না : অ্যামব্রোস
বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবশেষ ২০১৬ সালের আসরে শিরোপা জিতেছিল তারা। এর আগে ২০১২ সালের আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ক্যারিবীয়রা। কিন্তু ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটে রীতিমতো নাজুক অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের।
অথচ ক্রিকেটের কুলীন ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটের একসময়কার রাজা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটেও প্রথম দুই বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল তারা। আশির দশকে প্রায় দশ বছর ধরে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট জিততে পারেনি কোনো দল।
সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই এখন পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি নির্ভর দল। আবার এই কুড়ি ওভারের ফরম্যাটেও এখন আইসিসি র্যাংকিং অনুযায়ী বিশ্বের দশম সেরা দল ক্যারিবীয়রা। অর্থাৎ তিন ফরম্যাটের কোনোটিতেই এখন শক্তিশালী দল হিসেবে বিবেচিত হয় না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর কারণ ধরতে পেরেছেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস। তার মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান সময়ের ক্রিকেটাররা দেশের জন্য খেলাটির মাহাত্ম্য বুঝতে পারেন না। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ক্রিকেট আসলে কী- তা বুঝতে পারেন না তরুণ ক্রিকেটাররা, এমনটাই বিশ্বাস অ্যামব্রোসের।
যে কারণে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ পরপর দুইবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, আবার সেরা হতে লেগে গেছে ৩৩ বছর, ড্যারেন স্যামির হাত ধরে ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে। তাই এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসারের।
টক স্পোর্টস লাইভে দেয়া সাক্ষাৎকারে অ্যামব্রোস বলেছেন, ‘এখনকার সময়ের তরুণ খেলোয়াড়দের বেশিরভাগই আসলে জানে না, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মানুষের কাছে ক্রিকেটের মর্যাদাটা আসলে কোথায়। ক্যারিবীয় অঞ্চলের মানুষদের ঐক্যবদ্ধ রাখে এই ক্রিকেট।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি ক্রিকেটারদের অসম্মান করছি না। দলে এমন খেলোয়াড় আছে যাদের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে এবং গ্রেট হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে আমাদের এটা বুঝতে হবে… আমার মনে হয় না, আর কোনো সেই সোনালি সময় ফিরবে আমাদের।’
টেস্ট ক্যারিয়ারে ৯৮ ম্যাচে ৪০৫ উইকেট শিকার করা অ্যামব্রোসের শেষ কথা, ‘হ্যাঁ! আমরা হয়তো আইসিসি র্যাংকিংয়ে লাফিয়ে উঠতে পারব, অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারব। কিন্তু সেই স্বর্ণযুগ আর ফিরবে না। আমার মনে হয়, আমরা আর সেই দিন দেখতে পারব।’