এবার এনসিপি নেত্রীর পদত্যাগ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক শামীমা সুলতানা মায়া পদত্যাগ করেছেন। দলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তার নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় উল্লেখ করে তিনি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
শামীমা সুলতানা মায়া জানান, নীতি, সততা ও জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমালোচনা, মিথ্যা অভিযোগ ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার কারণে ব্যক্তিগত আদর্শ ও নৈতিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দায়িত্ব পালন আর সম্ভব হচ্ছে না বলেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শামীমা সুলতানা বলেন, ‘রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় শক্তি হলো বিশ্বাসযোগ্যতা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আগে আমি নিজেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
তবে তিনি জানান, তার এ সিদ্ধান্ত কারও প্রতি অভিযোগ কিংবা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং তিনি নিজের বিবেক ও সততার জায়গা থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছেন। পদত্যাগের পরও সমাজ ও দেশের কল্যাণে ইতিবাচক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি গণমানুষের আস্থা অর্জনে এবং স্বচ্ছ রাজনীতি চর্চায় আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখবে।
পদত্যাগের কারণ প্রশ্নে মায়া বলেন, গত ৪ আগস্ট এনসিপির কেন্দ্রীয় সংসদ বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে কোনো সুরাহা করেনি। তাই আমার মনে হয়েছে এখানে থেকে আমার আত্মসম্মান ও নিজের সামাজিক অবস্থান বিসর্জন দেওয়ার কোনো মানে হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী বলেন, মায়াসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে। আমরা অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিষয়টি কেন্দ্রকে লিখিতভাবে অবগত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারপর কেন্দ্র কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তো কেন্দ্রের ব্যাপার। আমার ধারণা, হয়তো এজন্যই সে আগেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Comments are closed.