চলতি ২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে এপ্রিলে আইএমএফ এ বছরের জিডিডি প্রবৃদ্ধি বলেছিল ২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। আর ২০২৩ সালে তা ৭ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হবে। অর্থাৎ অর্থনীতি করোনা মহামারীর আগের অবস্থায় ফিরতে আরো দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে ধরে নেয়া যায়।
গতকাল সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের যৌথ বার্ষিক সভা শুরু হয়েছে। এবার সভাটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় মঙ্গলবার আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ করে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।
এখানে উল্লেখ্য করা দরকার, আইএমএফ দেশের অর্থবছর ধরে নয়, পঞ্জিকাবর্ষ ধরে অর্থাৎ জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়।
এর গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে (২০২০–২১) ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থবছর শুরু হয় জুলাই মাসে, শেষ হয় জুন মাসে।
আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২টি দেশে জিডিপি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে। বাকি সব দেশের জিডিপি সংকুচিত হবে, প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, জাপানের মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিই নেতিবাচক হবে বলে মনে করছে দাতা সংস্থাটি।