এক ম্যাচ ভালো খেলে আবার পুরোনো চেহারায় ঢাকা
কোন দল জিততে চলেছে, সেটা ঠিক হয়ে গেছে প্রথম ইনিংস শেষেই। ঢাকা ক্যাপিটালসের যে বোলিং আক্রমণ, তাতে আর যাই হোক প্রতিপক্ষকে ১৩৯ রানের মধ্যে আটকে ফেললে সেটা অবিশ্বাস্য কিছুই হতো। তার ওপর প্রতিপক্ষ তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল, যে দলের ব্যাটিং লাইনআপ এবারের বিপিএলের অন্যতম সেরা।
এরপর যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। ঢাকা ক্যাপিটালসের ১৩৯ রান ফরচুন বরিশাল টপকে গেছে ২৪ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে। ৬ ম্যাচে বরিশালের এটি চতুর্থ জয়। আর ঢাকা? ৮ ম্যাচে এটি তাদের সপ্তম হার। তাদের একমাত্র জয় সর্বশেষ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে। সিলেটে লিটন দাস ও তানজিদ হাসানের সেঞ্চুরি সেই জয় এসেছিল রেকর্ড গড়ে। ১৪৯ রানের সেই জয় বিপিএলে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড়।
আগের ম্যাচে প্রথম জয় তোলা ঢাকা আবার হারের ধারায় গেলেও একটা দিক থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়ার কথা। তাদের বোলাররা অন্তত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পিচে বল রাখতে পেরেছেন। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার ফরমানউল্লাহ নিজের প্রথম ওভারে যা শুরু করেছিলেন তাতে পিচের বাইরে বলের মিছিল শুরু হয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল।
তবে শেষমেশ ভালোই করেছেন। সেই ওভারে ১০টি বলেই ওভার শেষ করতে পেরেছেন। শুধু তো ফরমানউল্লাহ নন, এই দলে তাঁর মতো অনেকেই আছেন। যাদের মূল উদ্দেশ্যে কোনোভাবে ওভারটা শেষ করা।
থিসারা পেরেরা, চতুরঙ্গা ডি সিলভা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই বোলিং করেছেন। শুরুতে নাজমুল হোসেনকে হারানো বরিশাল তামিম ও ডেভিড ম্যালানের জুটির সুবাদে হেসেখেলে জিতেছে। ৮০ বলে ১১৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই বাঁহাতি। ফিফটি পেয়েছেন তামিম, পেরেরার বলে আউটের আগে করেন ৬১ রান।
আজ ফিফটি পেয়েছেন আরেক তামিমও। ঢাকার এই ওপেনার তানজিদ হাসান (তামিম) করেছেন ৬২ রান। ৪৪ বলে খেলা এই ইনিংসের পথে ৪টি ছক্কা মেরেছেন তানজিদ। তাতে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ২০টি ছক্কার মালিকও এই ওপেনার।
টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৩০৮ রানও এসেছে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। তানজিদ ছাড়া আজ ঢাকার হয়ে কেউ বড় রান পাননি। গত ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি করা লিটন আজ আউট হয়েছেন ১৩ রান করে। সাব্বিরের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান। ঢাকা যে কোনোভাবে ১৩৭ রান করেছে, সেটা এসেছে শেষদিকে ফরমানউল্লাহর ১৬ বলে ২২ রানে।
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৩৯ (তানজিদ ৬২, ফরমানউল্লাহ ২২; ফাহিম ২/২২, তানভীর ৩/৩৯) ফরচুন বরিশাল: ১৪৫/২( তামিম ৬১, ম্যালান ৪৯; পেরেরা ১/ ২৫, জায়েদ ১/২৮)
ফল: বরিশাল ৮ উইকেটে জয়ী