এক ডোজের টিকার অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য শুক্রবার জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাকে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজার-বায়োএনটেক এর টিকার ব্যাপারে সায় দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ওই দু’টি প্রতিষেধকেরই দু’টি করে ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক। সব মিলিয়ে জনসন অ্যান্ড জনসন হলো তৃতীয় টিকা যার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও। তবে কেবল এক ডোজের টিকার হিসেবে ধরলে এটি-ই প্রথম।
দ্য স্ট্রেইট টাইমসে এ খবর নিশ্চিত করে বলা হয়-
এর মধ্য দিয়ে বিশেষত যে সব দেশে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর খুব একটা কড়াকড়ি নেই, সেখানে দ্রুত প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে জনসনের তৈরি এ টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনার বিপরীতে প্রতিটি নতুন, নিরাপদ এবং কার্যকর প্রতিষেধক পাওয়ার মানে হলো মহামারী নিয়ন্ত্রণে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
তবে বিজনেজ টাইমস এর আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ডাব্লুএইচও বলেছে, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের তালিকায় থাকার মানে হলো, সম্পূর্ণ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আরও নিরাপদ এবং কার্যকারিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনও (এফডিএ) বলেছিল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির তৈরি এক ডোজের ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর। উপসর্গ-যুক্ত অসুস্থতা এবং গুরুতর অসুস্থতা – এই দুই ক্ষেত্রেই জনসনের টিকার কার্যকারিতা প্রতীয়মান।
প্রসংগত, এই টিকা রেফ্রিজারেটরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। ফলে আলাদা কোন ফ্রিজারের প্রয়োজন পড়ে না। মানবদেহে চালানো পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি সার্বিকভাবে করোনার বিরুদ্ধে ৬৬% কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্র ফাইজার ও মর্ডানার পর জনসন অ্যান্ড জনসন এর এই টিকা অনুমোদন দিয়েছে। এই বছরের জুন মাস নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি টিকার ডোজ দিতে সম্মত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাও এর জন্য তাদের চাহিদা জানিয়েছে। এর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোকে দেয়ার জন্য যে কোভ্যাক্স প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেখানেও ৫০ কোটি এই টিকা কেনার চাহিদা দিয়েছে। সম্প্রতি এ টিকার অনুমোদন দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্তৃপক্ষ। এর একদিন পর অনুমোদন দিয়েছে ফ্রান্সও। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এইচএএস) এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছিল।