‘উদ্যোগের ক্ষেত্রে নারীকে কেন্দ্রে রেখে ভালো ফল মিলছে’
‘বিগত কয়েক বছরে সরকার স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর যে সুযোগ তৈরি করেছে, তার ফল করোনা ভাইরাস মহামারীকালে দেখা যাচ্ছে’।
মঙ্গলবার নারী ও মেয়েদের ওপর করোনা ভাইরাসের অভিঘাত নিয়ে বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে নারীকে কেন্দ্রে রেখে ভালো ফল পেয়েছে, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়া গত দুই দশক ধরে বলবৎ আছে। মেয়েদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে যে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল, এই সংকটের সময়ে ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে তার ফল আমরা দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে এই কারণে সৌভাগ্যবান, আমাদের ইতোমধ্যে নারীদের জন্য কিছু সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রাখা হয়েছে। সংকটের সময়ে খোলা থাকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে প্রসূতি নারীরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।”
প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মতো দেশে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটলেও অনেক সময় নারীদের সেখানে অভিগম্যতা থাকে না, তারা সেটা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারছে না।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী নেতৃত্ব থাকার কারণে নারী ও শিশুদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তার বিষয় অগ্রাধিকার পেয়েছে। অনুদানের টাকা সরাসরি নারীদের কাছে যাওয়া নিশ্চিত করা এবং এটা তাদের জন্য সহজলভ্য করার ব্যবস্থা হয়েছে। আমাদের যে মোবাইলে আর্থিক সেবা আছে সেটাকে কাজে লাগানো হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য একটা প্রক্রিয়া আমাদের আগে থেকেই ছিল।’
পড়াশোনা চালু রাখার বিষয়ে উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের যে সংসদ টেলিভিশন আছে সেটাকে বিনামূল্যে পড়াশোনার জন্য কাজে লাগানো হয়েছে। এটা বলা মানে এই না যে, সবার জন্য এটা কার্যকরী হয়েছে, তবুও এমন সুবিধা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সিস্টেমগুলো নারীদের অভিগম্যতার বিষয় মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। এমনিতে আমার মনে হয়, নারীরা বেশি সহনশীল, পরিবারে সমস্যার সমাধানকারী।’