ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে এক বৈঠকে ভোটাভুটির পর চুক্তি অনুমোদন করা হয়। নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার ১১ সদস্যের ভোটের মাধ্যমে অনুমোদন পেয়েছে চুক্তিটি। খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও মানবিক দিক পর্যবেক্ষণের পর এবং প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে সমর্থন করে’ এটা বোঝার পর চুক্তিটি গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রিসভা ‘সরকারকে প্রস্তাবিত রূপরেখা অনুমোদন করার’ সুপারিশও করেছে। চুক্তিটি এখন আলোচনা ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় যাবে। খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হওয়ার পর মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়েছে।
এই বৈঠকে অনুমোদন পেলেই কেবল ইসরায়েলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন আসবে।

মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা করছেন ইসরায়েলের শীর্ষ নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। কাতারি ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
রয়টার্স জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও চুক্তিতে ছয় সপ্তাহের তথা ৪২ দিনের একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
চুক্তির শর্তের মধ্যে রয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে এবং হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
হামাস প্রায় সঙ্গে সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন করলেও বিলম্বিত করে ইসরাইল। চুক্তি অনুমোদনে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে ‘শেষ মুহূর্তে সংকট’ তৈরি করছে বলে অভিযোগ করে বৈঠক পিছিয়ে দেন।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য শুক্রবার বিকেলে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।

মন্ত্রিসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়ার পর শেষ মুহূর্তেও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গত দুইদিনে গাজাজুড়ে অন্তত ১১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ২৮ জন শিশু এবং আরও ৩১ জন নারী।
এতে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন। নতুন করে ১৮৯ জন আহত নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার৬৪।

Comments are closed.