ইতিহাসের নির্মম সত্য হচ্ছে বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি : সেতুমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী রাজনীতি থেকে বিএনপিকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার সকালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের পণ্য পরিবহনের উৎসমূখে এক্সেল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের কাজ দুটি বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মধ্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।

সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার ‘ডিপ অ্যান্ড এবাইডিং’ কমিটমেন্ট থেকে বিএনপি চাইলে অনেক কিছুই শিখতে পারতো। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম সত্য হচ্ছে বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি।

তিনি বলেন, জনগণের সাথে প্রতারণা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা কখনো করেনি, করবেও না বরং বিএনপির দলীয় প্রধানের একাধিক ভুয়া জন্মদিন পালন করে নিজেরাই এখন জনগণের কাছে প্রতারক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের প্রতি যদি বিএনপির ন্যূনতম দায়িত্ববোধ থাকতো তাহলে অন্তত টিকাদানের সময় সরকারের সমালোচনা বন্ধ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতো। অবশ্য তাদের অব্যাহত মিথ্যাচার আর জনবিরোধী কর্মকান্ডের কারণে জনরোষের শিকার হওয়ার আশংকা থেকেই নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। রাজনীতি মানে সবকিছু নিয়ে মিথ্যাচার নয়, অন্ধ সমালোচনা নয়।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, গণটিকা কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখে কান্ডজ্ঞানহীন সমালোচনা প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণহতাশার বহিঃপ্রকাশ। এ নিয়ে বিএনপি কর্মীদের চেয়ে তাদের নেতারাই বেশি হতাশাগ্রস্ত। গণটিকা লোক দেখানো নয়, ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণের স্বতস্ফুর্ততা বিএনপি নেতারা চোখ খুলে দেখলেই দেখতে পাবে।

তিনি বলেন, অল্পসময়ে ব্যবধানে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন সংগ্রহে সফল হবে, বিএনপি ভাবতেই পারেনি। তারা ভেবেছিল টিকা পেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের সাফল্যে বিএনপির অস্থিরতা এবং মর্মযন্ত্রণা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। তাইতো তারা আবোল-তাবোল বকছে।

পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ নিয়ে সরকার সফলভাবে গণটিকা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় বিএনপির সহ্য হচ্ছে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছে। এমনিতেই আগস্ট মাস এলে বিএনপি’র অতীতের রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতায় অন্তর্জালায় ভোগে।

পরিস্কার করার নির্দেশনা দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী,বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লা আল মামুন এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.