ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসল যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আলোচনায় বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। তিন বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেন সর্বাত্মক হামলা চালানোর পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি বৈঠক হচ্ছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৈঠকে দুই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে যে দেশে যুদ্ধ চলছে, সেই ইউক্রেন বা তার মিত্র ইউরোপের দেশগুলোর কাউকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের (১৮ ফেব্রুয়ারি) বৈঠক সমঝোতা আলোচনা শুরু করার জন্য নয়; বরং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে রাশিয়া ‘আন্তরিক’ কি না, সেটা বোঝার জন্য এই আলোচনায় বসা। আর রাশিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে তারা।

বৈঠকে রাশিয়ার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকোভ রয়েছেন। তিনি একসময় যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর ৭২ বছর বয়সী সের্গেই লাভরভ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন।

অপর দিকে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ উপস্থিত রয়েছেন।

আলোচনার টেবিলে আয়োজক দেশ সৌদি আরবের পক্ষে উপস্থিত আছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল–সৌদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসায়েদ বিন মোহাম্মদ আল–আইবান।

মার্কো রুবিওর সঙ্গে সৌদি আরব সফরে থাকা বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরবিষয়ক প্রতিনিধি টম বেটম্যান জানিয়েছেন, শুরুতে সাংবাদিকেরা প্রায় এক মিনিট দুই দেশের প্রতিনিধিদের ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। এ সময় তারা চুপচাপ বসেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ কিছু নোট লিখছিলেন।

সাংবাদিক টম বেটম্যান খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা শুধু স্বাগত বক্তব্য দেবেন। তারপর তারা দুই দেশের প্রতিনিধিদের আলোচনার সুযোগ করে দিয়ে ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসবেন।

টম বেটম্যান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে প্রশ্ন করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কি ইউক্রেনকে পাশে ঠেলে দিচ্ছে এবং রাশিয়াকে কোন কোন বিষয়ে ছাড় দিতে বলা হবে?

এই দুই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি মার্কো রুবিও।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.