আ.লীগ নিষিদ্ধ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ : কর্নেল অলি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপির প্রেসিডেন্ট খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, প্রায় ৯ মাস পর জনতার প্রতিরোধ, তরুণ প্রজন্মের সাহসিকতা ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক শক্তির সম্মিলিত চাপে অবশেষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে আমি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই এবং এটিকে ভবিষ্যতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।

রোববার (১১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

অলি আহমদ বলেন, ‘গত বছরের ৮ আগস্ট আমি ও আমাদের সংগঠন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি সর্বপ্রথম জোরালোভাবে দাবি জানিয়েছিলাম- দেশ রক্ষার স্বার্থে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। কারণ, এটি ছিল একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা বারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে গুম, খুন, দমনপীড়নকে সরকারিভাবে অনুমোদন দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড, হেফাজতে ইসলাম গণহত্যা, সাংবাদিক হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যার দীর্ঘ তালিকা, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার, দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন এবং ভারতের স্বার্থরক্ষায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করার মত অপরাধের দায় এই দলের কাঁধেই বর্তায়। এদের শাসনামলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং নীতি- নৈতিকতা সর্বোচ্চভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।

এলডিপির এই নেতা বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা এবং সাধারণ মানুষের ওপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসেও নজিরবিহীন। এই নৃশংসতা ও অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে উঠেছিল। যার কারণে ফ্যাসিস্ট সরকারের সূচনীয় পতন হয়েছিল। আমি বলেছিলাম আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া বাংলাদেশ রক্ষা পাবে না।’

You might also like

Comments are closed.