কক্সবাজারে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১১ জন ও দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় দুজনকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়। তাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক এমএ মঞ্জুর বলেন, সোমবার অনুষ্ঠেয় জেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী না হওয়ার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর নোটিশ জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তা অনেকেই মেনে নিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আবার অনেকেই নেননি। যারা নিয়েছে তাদের দলীয়ভাবে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আরা যারা নেননি এ রকম ১১ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি এ সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে না নেন তাহলে এ ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নুর হোসেন, হ্নীলা ইউনিয়নের কামাল উদ্দিন আহমদ, পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিএ, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন খোকন, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের এনামুল হক রুহুল, মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ, মাস্টার রুহুল আমিন, আবদুস সাত্তার, হোয়ানক ইউনিয়নের মীর কাসেম চৌধুরী ও ওয়াজেদ আলী মুরাদ।
কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের সিরাজদৌল্লাহ। এছাড়া দলীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আলম (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান), মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম জহুরকেও সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তাদের চূড়ান্তভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক এমএ মঞ্জুর। তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ দর্শাতে না পারলে তাদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবরে জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশ পাঠানো হবে।