পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। তারা তা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করে আদর্শ তৈরি করলে, আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব।’
বৃহস্পতিবার সিলেট নগরের হজরত শাহজালাল (র.) এর মাজারসংলগ্ন এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেন।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের আট সদস্য। চিঠিতে তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকরা যে মাসিক ২৩ হাজার টাকা মজুরি দাবি করেছিলেন, তা না মানা শুধু দুঃখজনক নয়, লজ্জাজনকও। এ বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তদবির ছাড়া আমাদের দেশে কোনো কাজ হয় না। তদবিরের অভাবে সিলেটের অনেক অনুমোদিত প্রকল্পের কাজও আটকে আছে। এটি একটি বড় সমস্যা। আরেকটি বড় সমস্যা হলো কিছু অসত্ সরকারি কর্মচারী।
যেমন—পাসপোর্ট অফিসে যান, দেখবেন মানুষকে অনেক হয়রানি করা হচ্ছে। আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে আমরা হয়রানি বন্ধ করব।’
ফের নির্বাচিত হলে সিলেটের উন্নয়নে কী করবেন—এমন প্রশ্নে মোমেন বলেন, ‘কাজের তো শেষ নেই। সবচেয়ে বড় হচ্ছে এখানে কর্মসংস্থান তৈরি করা খুব প্রয়োজন।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা সংঘাত চাই না।
আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতির অংশ হতে পারে না। বিএনপির নেতৃত্বে পরিপক্বতার অভাব রয়েছে বলেই তারা ধ্বংসাত্মক ও হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে।’
মোমেন বলেন, ‘নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। তাই ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ দলে দলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ শিপলু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা সুলতানা, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুফতি খাবির প্রমুখ।