আমেরিকার সম্পদ ও সীমানা বাড়াতে হবে: অভিষেক ভাষণে ট্রাম্প

আমেরিকার সুবর্ণ যুগ শুরু হলো—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে অভিষেক ভাষণে এ কথা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন নভোচারীরা মঙ্গল গ্রহে গিয়ে বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনা করবেন। সোমবার  (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শপথ গ্রহণের পর দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এ প্রত্যয়ের কথা দেশবাসীকে জানান।

নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আকাশেও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় থাকবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা বাড়ানোর ও মঙ্গল গ্রহে মার্কিন নভোচারী পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আবার নিজেকে একটি বর্ধমান জাতি হিসেবে দেখতে পাবে। আমাদের সম্পদ ও সীমানা বাড়াতে হবে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা মহাবিশ্বে আমাদের ভাগ্য অনুসরণ করব। মঙ্গল গ্রহে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করব।’ এই ঘোষণার সময় অনুষ্ঠানে থাকা স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। খবর-বিবিসি

নিজের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মার্কিন নাগরিকরা কথা বলেছেন। ‘আমি এটার প্রমাণ হিসেবে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি যে, অসম্ভব বলে কিছু বিশ্বাস করা কখনও উচিত নয়। অসম্ভবকে সম্ভব করাটাই আমরা আমেরিকায় সবচেয়ে ভালো পারি। যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করা বা ভয় দেখানো যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হবে না। এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত, সার্বভৌম এবং স্বাধীন। ভবিষ্যৎ আমাদের এবং আমাদের স্বর্ণযুগ সবে শুরু হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমেরিকা স্বর্ণযুগে পা দিয়েছে। আমেরিকার স্বর্ণযুগ এখনই শুরু হয়েছে। এখন থেকে সামনের দিনগুলোতে আমাদের দেশ আরও সমৃদ্ধ ও সম্মানজনক অবস্থানে উঠে আসবে। আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। শপথ গ্রহণের দিন ২০ জানুয়ারিকে তিনি ‘মুক্তির দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করে ট্রাম্প বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করা হবে, নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা হবে এবং ফিরিয়ে আনা হবে ন্যায়বিচার। আমরা একটি গর্বিত, সমৃদ্ধশালী ও স্বাধীন জাতি তৈরি করার লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, আমি বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে, আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত। এ দুই সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করার কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে আমার ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ বা ‘মেক্সিকোতেই থাকো’ নীতি পুনরায় কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরও সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে। মাদক চক্রগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে নির্বাহী আদেশে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে। এ আইনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.