‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়, কারাগারে নয়’
গতকাল ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি। এরপর গাজার খান ইউনুসের কয়েকজন ফিলিস্তিনির বয়ান সামনে এসেছে। আবদাল্লাহ আবু রাফে মুক্তি পাওয়ার অনুভূতিকে ‘অসাধারণ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন,
‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়, কোনো কারাগারে নয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ছিলাম ‘ওফার কারাগার’ নামের এক কসাইখানায়। এখনো অনেক তরুণ সেখানে বন্দি রয়েছে। ইসরায়েলি কারাগারগুলোর অবস্থা খুবই কঠিন। কোনো গদি দেয়া হয় না, গদি থাকলেও তা কেড়ে নেয়া হয়। খাবারের অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে জীবনযাপন একদমই সহজ নয়।’
আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি ইয়াসিন আবু বলেন,
‘খাবার, নির্যাতন, মারধর—সব কিছুই ভয়ানক ছিল। কোনো খাবার বা পানি দেয়া হতো না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। মুক্তির পর আমাকে এখানে দুটি মিষ্টি দেয়া হয়েছে, আমি সেগুলোই খেয়েছি।’
অন্য এক বন্দি সাঈদ শুবাইর, যিনি সোমবার (১৩ অক্টোবর) মুক্তি পেয়েছেন, আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন,
‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। লোহার শিক ছাড়া সূর্য দেখা—এ এক বর্ণনাতীত অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতার কোনো দাম নেই, এটি অমূল্য।’
ইসরায়েল প্রায় ২৫০ জন যাবজ্জীবন বা দীর্ঘ মেয়াদি দণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিকে এবং গাজা থেকে আটক ১,৭১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, গাজা থেকে আটক এই ব্যক্তিদের ‘জোরপূর্বক নিখোঁজ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা।

Comments are closed.