আপাতত সৌদি আরবে যাচ্ছেন না জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার পূর্বনির্ধারিত সৌদি আরব সফর স্থগিত করেছেন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠককে ‘বৈধতা’ দিতে নারাজ জেলেনস্কি। এ কারণে তিনি আপাতত সৌদি আরবে যাচ্ছেন না। খবর রয়টার্সের।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলেনস্কির সৌদি আরব সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগেরদিন তুরস্কে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ১০ মার্চ পর্যন্ত তার সৌদি আরব সফর স্থগিত থাকবে। কারণ, তিনি কোনো ধরনের কাকতালীয় ঘটনা চান না।

একটি সূত্র বলেছে, রিয়াদে হওয়া কোনো কিছুকে বৈধতা দিতে নারাজ ইউক্রেন।

আঙ্কারায় জেলেনস্কি বলেন, রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা গতকাল যে আলোচনা করেছেন, সেখানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

রিয়াদে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ছিলেন। আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে তারা একমত হয়েছে।

রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যখন আলোচনায় ব্যস্ত, তখন তুরস্ক সফরে যান জেলেনস্কি। এই সফরে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

আঙ্কারায় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের চাওয়া হলো, কেউ যেন পেছনে বসে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়। ইউক্রেন যুদ্ধ কীভাবে শেষ করা যায়, সে বিষয়ে কিয়েভকে ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে তৎপর রয়েছেন। এ নিয়ে আগে তিনি বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই দ্রুত কিছু করার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া যখন আলোচনার টেবিলে, জেলেনস্কি তখন এরদোয়ানের কাছে ট্রাম্প গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন।

ট্রাম্পের তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে একধরনের অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, শান্তিপ্রক্রিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলোকে বাইরে রাখা হচ্ছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.