আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মাহমুদউল্লাহ

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসর নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকি ছিল শুধু একদিনের ক্রিকেট। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাজে পারফরম্যান্সের পর সেই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ার জন্যও চাপে ছিলেন তিনি। শেষমেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণাই দিয়ে দিলেন প্রায় ১৮ বছর বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলা এই তারকা।

বুধবার (১২ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বিদায়ী বার্তা দেন মাহমুদউল্লাহ। বিদায়ী ঘোষণায় তিনি লেখেন, ‘সকল প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে সবসময় সমর্থন করেছেন।’

পরিবারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে রিয়াদ লেখেন, ‘আমার বাবা-মা, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, বিশেষ করে আমার শ্বশুর এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য- আমার ভাই এমদাদ উল্লাহকে অনেক ধন্যবাদ। যিনি ছোটবেলা থেকেই আমার কোচ এবং পরামর্শদাতা হিসেবে আমার পাশে থেকেছেন। পরিশেষে আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের ধন্যবাদ, যারা কঠিন সময়ে আমার পাশে থেকেছে। আমি জানি লাল-সবুজ জার্সিতে রাইদ (বড় ছেলে) আমাকে মিস করবে।’

স্ট্যাটাসের শেষের ভাগে রিয়াদ লেখেন, ‘সবকিছু নিখুঁতভাবে শেষ হয় না, কিন্তু আপনাকে হ্যাঁ বলতে হয় এবং এগিয়ে যেতে হয়। শান্তি…………আলহামদুলিল্লাহ। আমার দল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা।’

আগের দিন মঙ্গলবার বিসিবির চুক্তি থেকে নিজের নাম সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন মাহমুদউল্লাহ। তার অনুরোধ রেখে মার্চ থেকে তাকে চুক্তির বাইরে রেখেছে বিসিবি। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল তাকে। এর আগে, গত বুধবার ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানান তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ ও ভায়রাভাই মুশফিকুর রহিম।

ওয়ানডেতে ২৩৯ ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। যেখানে ৩৬.৪৬ গড়ে ৫ হাজার ৬৮৯ রান করেছেন তিনি। ৪টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ৩২টি। চার সেঞ্চুরির সবগুলোই আইসিসি ইভেন্টে। এই সংস্করণে বল হাতেও মন্দ করেননি তিনি। ১৫৩ ইনিংসে বল করে শিকার করেছেন ৮২ উইকেট।

এছাড়া টেস্টে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১৬ হাফ সেঞ্চুরিসহ ২ হাজার ৯১৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। যেখানে অপরাজিত ১৫০ তার ক্যারিয়ারসেরা। এই সংস্করণে ৪৩ উইকেট আছে তার। টি-টোয়েন্টিতে রান ২ হাজার ৪৪৪। বাংলাদেশের মধ্যে তার চেয়ে বেশি রান কেবল সাকিব আল হাসানের (২ হাজার ৫৫১)। এই সংস্করণে মাহমুদউল্লাহর উইকেটসংখ্যা ৪১।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.