আদর্শ স্ত্রীর ৫ গুণ

পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর। এ সম্পর্কের চেয়ে মধুর কোনো সম্পর্ক নেই।

শান্তিময় ও সুখী পরিবার গঠনে আদর্শ স্ত্রীর বিকল্প নেই। স্ত্রীর পাঁচটি গুণ এমন রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে স্বামী তার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় এবং সংসারে সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পায়।

নিম্নে আদর্শ স্ত্রীর সে পাঁচটি গুণ তুলে ধরা হলো—

এক. স্বামীকে যথাযথ সম্মান করা: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি যদি (আল্লাহ ছাড়া) অন্য কাউকে সিজদা করার হুকুম দিতাম, তবে স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করার হুকুম দিতাম।’ (তিরমিজি: ১১৫৯)

দুই. স্বামীর আদেশ পালন করা: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, রমজান মাসের রোজা রাখবে, নিজের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে, স্বামীর অনুগত হবে, তখন জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ :১৬৬১)

তিন. স্বামীকে ভালোবাসা: রাসুল (সা.) বলেছেন, এমন নারীকে বিয়ে করো যে প্রেমময়ী এবং অধিক সন্তান প্রসবকারী।’(সুনানে আবু দাউদ:২০৫০)

চার. স্বামীর আমানত রক্ষা করা: স্ত্রীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো- স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজের সতীত্ব ও স্বামীর সম্পদের হেফাজত করা।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘সাধ্বী স্ত্রীরা হয় অনুগত এবং আল্লাহ যা হেফাজতযোগ্য করে দিয়েছেন, লোকচক্ষুর অন্তরালে তার হেফাজত করে।’ (সুরা নিসা: ৩৪)

পাঁচ. স্বামীকে খুশি রাখা: রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাকে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ সম্পর্কে অবহিত করব না? তা হলো, নেককার স্ত্রী। সে (স্বামী) তার (স্ত্রীর) দিকে তাকালে স্ত্রী তাকে আনন্দ দেয়। তাকে কোনো নির্দেশ দিলে সে তা মেনে নেয়। সে যখন তার থেকে অনুপস্থিত থাকে, তখন সে তার সতীত্ব ও তার সম্পদের হেফাজত করে। (আবু দাউদ: ১৬৬৪)

You might also like

Comments are closed.