আজারবাইজানের প্রায় ৩ হাজার সেনা নিহত

নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়ান-আজারবাইজান যুদ্ধ চলাকালীন আজারবাইজানের ২ হাজার ৭শ ৮৩ জন সেনা নিহত হয়েছে এবং শতাধিক সেনা নিখোঁজ বলে দাবি করেছে আজারবাইজান।

সমঝোতার মাধ্যমে ছয় বছর ধরে চলা যুদ্ধ ১৯৯৪ সালে থেমে গেলেও তাদের মধ্যে কখনও শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত হলেও, আর্মেনিয়ার সরকারের সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয়রা এটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আর্মেনিয়া এখনও পর্যন্ত তার সামরিক বাহিনীর জন্য মৃতের সংখ্যা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করেনি, তবে আর্মেনিয়ার এক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ১৪ ই নভেম্বর নিশ্চিত করেছেন যে ২ হাজার ৩শ ১৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন।গুচ্ছ হামলার কারণে উভয় পক্ষের কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিকও এই সংঘর্ষের সময় মারা যান।

তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান বলেছেন, যে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর তিনি আজারবাইজান সফর করবেন। যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর বাকুতে কোনো পররাষ্ট্রপ্রধানের এটাই প্রথম সফর।

মঙ্গলবার আঙ্কারা থকে এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, যৌথ শান্তিরক্ষা কেন্দ্র থেকে কারাবাখের যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক ও রাশিয়া। তবে তুর্কি কর্মকর্তারা বলছেন যে যৌথ শান্তিরক্ষা কেন্দ্রটি আজারবাইজানের মনোনীত একটি জায়গায় হতে হবে।

এ বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আরম্ভ হওয়া আর্মেনিয়া–আজারবাইজানি যুদ্ধকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সাম্প্রতিক যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। এর মধ্য দিয়ে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলে আসা আর্মেনীয়–আজারবাইজানি দ্বন্দ্বে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। নাগর্নো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে এর আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। আলজাজিরা।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.