নির্বাচন সংস্কারের পর হতে হবে: জামায়াত আমির

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই হবে, কিন্তু যেনতেনভাবে নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। নির্বাচনের মত নির্বাচন চাই, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তবে নির্বাচনের পূর্বে ভোটার তালিকা সংশোধন করতে হবে। ভুয়া ভোটার বাদ দিতে হবে। মৃত্যুবরণকারী ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে। ভোটারের যোগ্য হয়েছে এমন সকলকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে, পরে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া কালীকুমার ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নরসিংদী জেলা জামায়াত আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত সাড়ে ১৭ বছর এ দেশের মানুষ ভীষণ কষ্টের মধ্যে ছিল। এই সময়ে অসংখ্য মানুষ খুন, গুম, অপহরণ ও আয়নাঘরের বাসিন্দা হয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অযথা মামলায় ফাঁসিয়ে অনেককে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। অনেকে চাকরি-ব্যবসা হারিয়েছেন, অনেকের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর বাড়তি জুলুম করা হয়েছে। এক এক করে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। বিচারের নামে তামাশা করে কাউকে দেওয়া হয়েছে ফাঁসি, কাউকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুর দিকে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা তথা ইউনিয়ন কার্যালয়গুলো পর্যন্ত তালা বদ্ধ করে রেখেছে। জামায়াত একমাত্র দল, যে দলের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো- ফ্যাসিবাদ আপাতত বিদায় নিয়েছে, কিন্তু নিবন্ধনটি আমরা এখনো ফিরে পাইনি। এখনো সেই নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জন্য লজ্জার বিষয়। আমাদের দেশপ্রেম ও ফ্যাসিবাদের কাছে মাথানত না করার কারণে আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমাদের নিবন্ধনটি ফ্যাসিবাদের পরিবর্তনের সাথে সাথে দিয়ে দেয়া উচিৎ ছিল।

You might also like

Comments are closed.