আগামী বছরের শুরুতে টিকা আসতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের টিকা উদ্ভাবনে গবেষকরা ‘ভালো অগ্রগতি’ অর্জন করেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা শেষ স্তরে রয়েছে।
কিন্তু ২০২১ সাল না আসা পর্যন্ত টিকার প্রথম ব্যবহার হবে, এমনটি আশা করা যাচ্ছে না। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিশেষজ্ঞ এমন খবর দিয়েছেন।
টিকার ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু এসবের মধ্যে ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর জরুরি কর্মসূচিবিষয়ক প্রধান মাইক রায়ান বলেন, বিশ্বে করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে বাড়ছে। আমাদের ভালো অগ্রগতি হয়েছে।
‘বেশ কয়েকটি টিকার পরীক্ষা তৃতীয় পর্যায়ে আছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উৎপাদনে সক্ষমতা ও নিরাপত্তার দিক থেকে এ যাবত কোনোটি ব্যর্থ হয়নি।’
সামাজিকমাধ্যমে হওয়া এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মানুষের শরীরে টিকা প্রয়োগ হচ্ছে, তা দেখার আগে আগামী বছরের প্রথম অংশে তা বাস্তবিকভাবে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
রায়ান বলেন, সম্ভাব্য টিকা যাতে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তায় কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ব্যাপারে আমাদের আরও ন্যায্য হতে হবে। কারণ এটি বৈশ্বিক পণ্য।
‘মহামারী প্রতিরোধের টিকা কেবল বিত্তশালী কিংবা গরিবদের জন্য নয়। এ টিকার সবার জন্য হতে হবে।’