অস্কার দৌড়ে ঋতাভরীর সিনেমা ‘পাপা বুকা’

প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি। সেই দেশের সিনেমা ‘পাপা বুকা’ এই প্রথম অস্কারের দৌড়ে। ফিচার ফিল্ম সেকশনে মনোনয়ন পেয়েছে এ সিনেমাটি।

এটি ভারতের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। সেই সিনেমায় অভিনয় করেছেন বঙ্গতনয়া অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। বিশ্বের দুই প্রান্তকে এভাবেই এক সুতায় বেঁধে দিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী চক্রবর্তী জানালেন নিজের উচ্ছ্বাসের কথা।

ভারতীয় পরিচালক বিজুকুমার দামোদরনের হিন্দি ও ইংরেজি সংস্করণে নির্মিত সিনেমা ঋতাভরী চক্রবর্তীকে দেখা যাবে এক ইতিহাস চর্চাকারীর চরিত্রে। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে পাপুয়া নিউগিনি এই প্রথম অস্কারের মঞ্চে পাঠাচ্ছে নিজেদের সিনেমা।

এ প্রসঙ্গে ঋতাভরীর বলেন, ভারত ও পাপুয়া নিউগিনির যৌথ প্রযোজনায় তৈরি এ সিনেমাটি দুই দেশের ভাষাই রয়েছে। সিনেমায় তিনটি মূল চরিত্র—একজন মালয়ালি, অন্যজন পাপা বুকা আর আমি একজন বাঙালি চরিত্রে। কিন্তু বাংলায় কথা বলেছি। কারণ পরিচালক মনে করেছেন যখন আমি বাংলায় লেখা কোনো চিঠি পড়ছি, সেটি অন্য ভাষায় পড়ার কোনো অর্থ দাঁড়ায় না।

অভিনেত্রী বলেন, এর আগে ২০১৫ সালে একটি ফেস্টিভ্যালে আলাপ হয় পরিচালকের সঙ্গে। তখন উনাকে বলেছিলাম— আমাকে সিনেমায় না নিলে কেরালায় গিয়ে খুন করে আসব। উনি কথা রেখেছেন। যদিও সেদিন মজা করে বলেছিলাম।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে মনোনীত হয়েছে ঋতাভরীর সিনেমা। কিন্তু বাংলা সিনেমায় কি উপস্থিতি কমছে তার? অভিনেত্রী বলেন, আমি একটা সীমায় নিজেকে বেঁধে রাখতে চাই না। আমি ভালো সিনেমা করতে চাই।

তিনি বলেন, আমি দক্ষিণী সিনেমা, বহু হিন্দি সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়েছি। কারণ সেগুলোর প্রত্যেকটাই খারাপ। হয়তো বড় প্রযোজক পেয়ে যেত ছবিগুলো, নামও হতো। কিন্তু শুধু প্রচারে থাকতে সিনেমা করতে চাই না। সে ক্ষেত্রে আমার শিল্পের প্রতি অন্যায় করা হতো।

এরপরেও ঋতাভরী কৃতজ্ঞ বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কাছে। কারণ জাতীয় স্তরে কিংবা আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি কাজ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, কারণটা কিন্তু সেই বাংলা ছবিই।

You might also like

Comments are closed.