×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-১২-২২, সময় - ০৫:২৭:৪৪
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় টানা দুদিন সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এদিন সারাদেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গত দুদিন সূর্যের দেখা না মিললেও সোমবার সকাল থেকে আংশিকভাবে রোদের দেখা মেলে। তবে তাতে শীতের তীব্রতা খুব একটা কমেনি। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সকাল ও সন্ধ্যায় শীতের প্রকোপ চরম আকার ধারণ করছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চারদিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে। ফলে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

শীতের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। এই মৌসুমে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে তিল পরিমাণ জায়গা নেই। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। চিকিৎসকরা বলছেন, ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ, অপর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধ পানির সংকট এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান  বলেন, গত দুদিন পর আজ সূর্যের দেখা মিলেছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মাসের শেষের দিকে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...