বিশ্বভ্রমণে সর্বাধিক দেশ ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি নাজমুন নাহার ১৪০তম দেশ ভ্রমণের রেকর্ড করেছেন। গত ২৯ জানুয়ারী বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে তিনি পৌঁছেছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাইয়ের রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ান এ। আর এর মাধ্যমে নাজমুন নাহার স্পর্শ করলেন আরও একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ১৪০ তম দেশ ভ্রমণের ঐতিহাসিক রেকর্ড অর্জন করলেন তিনি ব্রুনাইয়ের মাটি ছুঁয়ে।
মাল্টিনিউজটোয়েন্টিফোর এর কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রুনাই থেকে আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নাজমুন, ‘এতো বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে বিশেষ করে সারা দুনিয়া যখন করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত, ঠিক সেই মুহূর্তে মুখে মাস্ক পরে এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা হাতে চালিয়ে গেছি আমার অভিযাত্রা। এখন মনে হচ্ছে খুব শীগগিরই পৃথিবীর সব দেশের মাটি লাল-সবুজের পতাকা হাতে স্পর্শ করে ফেলবো আমি’।
‘ব্রুনাইয়ের রাজধানীতে অবস্থিত এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম সুন্দর মসজিদ বলে অভিহিত- ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ ভ্রমণ করেছি। আমার দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য মহান আল্লাহ্ এর কাছে দোয়া করেছি’, যোগ করেন নাজমুন।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি শুরু করেন এবারের অভিযাত্রা। এ অভিযাত্রায় তিনি ম্যাপ করেছিলেন এভাবে- এশিয়া মহাদেশের দেশ মায়ানমার, জাপান, তাইওয়ান, ফিলিপিনস হয়ে ব্রুনাই পর্যন্ত। ব্রুনাই থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি তার সুইডেন ফেরার কথা রয়েছে।
সাফল্যের শেষ এখানেই নয়! গতকাল ব্রুনাইয়ের বহুল প্রচারিত পত্রিকা ‘ব্রুনাই বুলেটিন’র প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের সন্তান নাজমুন নাহারের ১৪০ টি দেশ ভ্রমণের দুঃসাহসিক অভিযাত্রার গল্প।
এছাড়া দেশ ভ্রমণের সাথে তাল মিলিয়ে নাজমুন দেশ-বিদেশে পেয়ে চলেছেন বহু পুরস্কার এবং সম্মাননা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলোঃ যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ অ্যাওয়ার্ড, গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড, মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, ইয়ুথ গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল, জন্টা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি।
নাজমুন নাহারের জন্ম বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলায়। জীবনে চলার পথে উৎসাহ খুঁজে পেয়েছন বাবা, দাদা এবং বই থেকে। তার দাদা ছিলেন ইসলামিক স্কলার এবং তিনিও ছিলেন একজনভ্রমণকারী। সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা নাজমুন নাহার মাকে নিয়েও ঘুরেছেন পৃথিবীর বহু দেশ।