মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাবটি পাস করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রস্তাবটিতে রোহিঙ্গা ও অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণায় উস্কানি দেয়া বন্ধ করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়- শুক্রবার সংস্থাটির ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৩৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে এবং ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল ২৮টি দেশ।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখার জন্য তহবিল বরাদ্দ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ৩০৭ কোটি ডলারের এই তহবিলে প্রথমবারের মতো সিরিয়া এবং মিয়ানমারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর ফলে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের ওপর ধরপাকড়, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড শুরু হবার পর থেকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ যাবৎ তিনটি প্রস্তাব পাস হল জাতিসংঘে।
যদিও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব কোনো দেশ মেনে চলতে আইনগত বাধ্য নয়। তারপরও এতে বৈশ্বিক মতামতের প্রতিফলন ঘটে। উল্লেখ্য গত ১৪ নভেম্বর জাতিসংঘের থার্ড কমিটিতে অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে এই প্রস্তাবটি অনুমোদন পেয়েছিল।
এছাড়া এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় দেশটির নেত্রী অং সান সুচি।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাউ ডু সুয়ান এক প্রতিক্রিয়ায় নতুন এই প্রস্তাবটিকে আরেকটি দ্বিমুখী নীতির উদাহরণ এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বৈষম্য বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের ওপর অনাকাঙ্খিত রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্যই এই প্রস্তাবটি আনা হয়েছে। কিন্তু এতে রাখাইন অঞ্চলের জটিল পরিস্থিতির কোনো সমাধান হবে না।