আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে আসার কারণে আপাতত দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা করে কমাতে সম্মত হয়েছেন মিল মালিকরা। রোববার মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এবিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কথা রয়েছে।
বাণিজ্য সচিবের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা, এবং পাম তেল ১৫২ টাকা। এর আগে গত ২৬শে জুন মন্ত্রণালয় ও মিল মালিকদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা এবং পাম তেলের দর ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ই জুন পর্যন্ত তিন দফায় লিটারপ্রতি ৫৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ২৬শে জুন বোতলজাত সয়াবিন লিটারে ছয় টাকা এবং রোববার ১৪ টাকা কমানোর ঘোষণা এল।
বাণিজ্য সচিব বলেন, আজকে (রোববার) মিল মালিকদের সঙ্গে ভোজ্যতেলের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাসের কারণে তারা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা এবং পাম তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা করে কমানোর কথা জানিয়েছেন।
ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা হায়দারকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
সংগঠনের সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, তেলের দাম কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত তার জানা নেই। এমন কিছু তাকে জানানো হয়নি। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের দর বিশ্ববাজারে চড়তে থাকায় ঈদের পর ৫ই মে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।