সৈকত এবং আশপাশ থেকে ৬০০ রোহিঙ্গা আটক

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ আশপাশের এলাকা এবং ক্যাম্পের বাইরে চুরি করে ঘুরতে যাওয়াসহ ৬৫৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সৈকত ও আশপাশ এলাকা হতে ৪৫৩ জন এবং ক্যাম্পের আশপাশ থেকে ২০৩ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী-শিশু ও কিশোর।

বৃহস্পতি ও বুধবার (৪ ও ৫ মে) পৃথক অভিযানে সৈকত থেকে টুরিস্ট পুলিশ ও আশপাশের এলাকা হতে জেলা পুলিশ এবং ক্যাম্পের আশপাশ থেকে এপিবিএন সদস্যরা এসব রোহিঙ্গাদের আটক করে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের এলাকায় বেশকিছু রোহিঙ্গা বালিয়াড়ি ও আশপাশে ঘুরছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৫৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে নারী-শিশু-কিশোরের সংখ্যাই বেশি। এদের ক্যাম্পের বাইরে যাবার কথা ছিল না। এত সংখ্যক রোহিঙ্গা নারী-শিশু ক্যাম্প ছেড়ে বালিয়াড়ি ও আশপাশে ঘুরা শঙ্কার বিষয়।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, সৈকতের বালিয়াড়িতে বিচরণরত বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা বালক ও নারীদের আটক করে জেলা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশকিছু রোহিঙ্গা সৈকতে আসা পর্যটকদের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করে বিরক্ত করছিল। আর বালকরা ক্যাম্প থেকে কৌশলে বেরিয়ে বালিয়াড়িতে আসে।

৮ এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. কামরান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্যাম্পসমূহের চেকপোস্ট সংলগ্ন বাইরের এলাকা এবং ক্যাম্প এলাকার বাইরে অবাধে আসা-যাওয়া করার সময় ২০৩ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) দের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকার বাইরে গমন রোধে সাঁড়াশি অভিযান চালনা করা হয়। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সৈকত ও আশপাশ এলাকায় রোহিঙ্গাদের বিচরণ বাড়ার খবর পেয়ে পুলিশ পৃথকভাবে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। বেশ কিছু রোহিঙ্গা নারী-শিশু-কিশোর আটক হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কাছে ট্রানজিট পয়েন্টে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment