মার্কিন টেলিভিশনের বিশিষ্ট সাংবাদিক বারবারা ওয়াল্টার্স মারা গেছেন। তিনি ৯৩ বছর বয়সে চলে গেলেন। ওয়াল্টার্স ১৯৭৬ সালে এবিসি নিউজে যোগদান করেন এবং দীর্ঘ সময়ের সংবাদদাতা ছিলেন। তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে ৭০০ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির সিইও বব ইগার বলেন, বারবারা একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি ছিলেন। তিনি নারীদের জন্যই নয়, তিনি সাংবাদিকতায় একজন অগ্রগামী কর্মী ছিলেন। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। নিয়েছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে বড় বড় সেলিব্রেটি এবং ক্রীড়া আইকনদেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
সিএনএন জানায়, ওয়াল্টার্স নিজ বাড়িতে স্বজনদের সহচার্যে থাকা অবস্থায় শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। তার জীবনে কোনো অনুশোচনা ছিলো না। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তিনি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতেন, এজন্য তার নেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যক্তির সবদিক ফুটে উঠতো। এবিসি নিউজের সন্ধ্যার সংবাদ কর্মসূচিতে বারবারা ছিলেন প্রথম নারী সাংবাদিক এবং একমাত্র ভরসার স্থল।
বারবার ১৯৫১ সালে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসভিলের সারাহ লরেন্স কলেজ থেকে স্নাতক হন। তিনি নিউইয়র্ক এসবিসি স্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। এবিসিতে প্রায় চার দশক ধরে কাজ করেন। তার কর্মজীবনে তিনি ১২টি এমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। ১১টিই পেয়েছেন এবিসি নিউজে দায়িত্ব পালনের সময়।
২০০৪ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি কখনই ভাবিনি টেলিভিশনে ক্যামেরার সামনে আসব, আমি লেখালেখির কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম।’ তবে ক্যামেরার জন্য তিনি একজন সাবলীল ও দক্ষ সাংবাদিক ছিলেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার, মাইকেল জ্যাকসনসহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
১৯৯৯ সালে বিল ক্লিনটন ও তার প্রেমিকা মনিকা লিউইনস্কির স্মৃতিকথন নিয়ে বারবারার উপস্থাপনা ৭০ মিলিয়ন মানুষ উপভোগ করেছিল। ওয়ল্টার্স এক সাক্ষাৎকারে সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি মানুষ আমাকে ভালো ও সাহসি সাংবাদিক হিসেবে স্মরণ করবে। আমি যেসব সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছি তা হবে ইতিহাসের সাক্ষী।