৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুর্বল ও অকেজো হয়ে পড়ে। এ সময় হৎপিণ্ড (হার্ট) সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। ৬০ থেকে ৭০ বছরের পর উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বা হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন বেশির ভাগ মানুষ।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অভ্যাস মেনে চললে ৭০ বছর বয়সের পরও হৃৎপিণ্ড সুস্থ ও সক্রিয় রাখা সম্ভব।

প্রতিদিন শরীরচর্চা

নিয়মিত হালকা ব্যায়াম যেমন সকালে আধঘণ্টা হাঁটা, যোগাভ্যাস বা স্ট্রেচিং শরীরের রক্তসঞ্চালন ভালো করে, বাড়তি চর্বি কমায় ও হৃৎপিণ্ডকে মজবুত রাখে।

সঠিক খাবার নির্বাচন

বয়স বাড়লে ভারী, তেল-মসলাদার বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। বদলে বেশি করে শাকসবজি, মৌসুমি ফল, ডাল, ওটস, বাদাম ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া দরকার। লবণ ও চিনি কম খাওয়ারও পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ

অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা হৃৎপিণ্ডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নিয়মিত মেডিটেশন, শান্ত সুরের গান শোনা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো বা নিজের শখ পূরণ করলে মন স্থির থাকে ও হৃৎপিণ্ডও সুস্থ থাকে।

পর্যাপ্ত ঘুম

ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ভালো ঘুম বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যথেষ্ট ঘুম না হলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ পড়ে ও বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। তাই সময়মতো চিকিৎসক দেখানো ও রুটিন চেকআপ যেমন : রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টেরল, ইসিজি করা উচিত। এতে রোগ আগেভাগে ধরা পড়ে ও সঠিক চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়।

মূলত হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা নির্ভর করে জীবনযাত্রার ওপর। বয়স যতই হোক না কেন, সঠিক ডায়েট, শরীরচর্চা ও মানসিক শান্তি বজায় রাখলে ৭০ বছর বয়সের পরও হৃৎপিণ্ড তরতাজা থাকবে।