হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সম্পদমূল্য কমে গেছে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এতে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় এতদিন তৃতীয় স্থানে থাকা আদানি নেমে এসেছেন সপ্তম স্থানে। তবে বৈশ্বিক তালিকায় অবনমন হলেও শীর্ষ ধনী হিসেবে এশিয়ায় নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন আদানি।
ফোর্বস রিয়েল টাইম বিলিওনেয়ার তালিকা অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত গৌতম আদানি মোট ৯৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক।
হিনডেনবার্গের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি গ্রুপ গত এক দশকে তার কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর কৃত্রিমভাবে বাড়িয়েছে। এমনকি গৌতম আদানির ১৩ হাজার কোটি ডলার সম্পদের ১০ হাজার কোটি ডলারই অর্জিত হয়েছে জালিয়াতির মাধ্যমে। শেয়ারবাজারে তাঁর কোম্পানিগুলোর দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে, বেনামি কোম্পানি দিয়ে শেয়ার কিনে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। এ ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই ঘটেছে গত তিন বছরে। তিন বছরে তাঁর সম্পদ বাড়ে ৮১৯ শতাংশের মতো।
গবেষণা প্রতিবেদনে আদানির কোম্পানিগুলোর ব্যাপক ব্যাংক ঋণ নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। ফলে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর দর আরও কমে যায়। আতঙ্ক দ্রুতই ছড়িয়ে যায় অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারেও। এর ফলেই বড় আকারের পতন ঘটে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ও বাজার মূলধনে।
শুধু শুক্রবারই আদানি গ্রুপের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে আদানি পোর্ট, আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস আম্বুজা সিমেন্ট, আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারদর ১৮ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।