বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক। বর্তমানে মানুষজন ফেসবুকের চেয়েও বেশি সময় ব্যয় করে থাকে সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরির এই প্ল্যাটফর্মে। জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মের বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি এবং প্রতিদিন অসংখ্য ভিডিও আপলোড করা হয়।
টিকটক তাদের নতুন ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, নিয়ম লঙ্ঘনকারী কনটেন্টগুলো প্লাটফর্মটি কিভাবে মোকাবেলা করে প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।
‘টিকটক কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট’ শিরোনামের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্ল্যাটফর্মটি থেকে নীতিমালা ভঙ্গের কারণে ৯০ মিলিয়নেরও বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে- যা আপলোড করা মোট ভিডিওর প্রায় ১ শতাংশ।
নীতিমালা ভঙ্গকারী এসব ভিডিওর মধ্যে ৭৩.৯ শতাংশ হয়রানি এবং ৭২.৪ শতাংশ প্রতিহিংসামূলক ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরানো হয়েছে। এই ভিডিওগুলোকে কেউ রিপোর্ট করার আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ এসব ভিডিও ব্যবহারকারীদের রিপোর্টের মাধ্যমে প্রথম চিহ্নিত হয়নি বরং টিকটকের নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করে মুছে দেওয়া হয়েছে। পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও কিছু ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ভিডিও এবং রাশিয়াতে প্রায় ৭ মিলিয়ন ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মিলিয়ন মিলিয়ন স্প্যাম অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জাল সম্পৃক্ততা রোধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসাবে টিকটক প্ল্যাটফর্ম থেকে বিলিয়ন ফেইক লাইক, ফলোয়ার এবং ফলো রিকুইয়েস্ট স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে কোভিড-১৯ সম্বলিত ৪৬ হাজারেরও বেশি ভুল তথ্যের ভিডিও সহ মোট ৮২.৮৬ শতাংশ ভিডিও সক্রিয়ভাবে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো হয়েছে। টিকটক তাদের সিস্টেমকে প্রতিনিয়ত আপগ্রেড করে চলেছে, যা আপলোডের সময় নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরিকে শনাক্ত করে অপসারণ করে দেয়। যার মধ্যে নগ্নতা এবং যৌন কার্যকলাপ, শিশু নিরাপত্তা এবং অবৈধ কার্যকলাপ এবং নিয়ন্ত্রিত পণ্য অন্যতম।
নীতিমালা লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট শনাক্তে টিকটকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বর্তমানে অনেক বেশি দক্ষ। ঘৃণাত্মক বক্তব্য, প্রতিহিংসামূলক কনটেন্ট, হয়রানি এবং ভুল তথ্যের মতো সূক্ষ্ম বিষয়বস্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যালোচনায় প্ল্যাটফর্মটির সাফল্যের হার বেড়েছে।
কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্টটি টিকটকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।