৩০০ আসনে নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে এনসিপি

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সামনে এখন প্রধান লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনভুক্ত হওয়া। শর্ত অনুযায়ী, ২১টি জেলা ও ১০০ উপজেলায় থাকতে হবে কমিটি ও দলীয় কার্যালয়। শুরুতেই চ্যালেঞ্জিং এই লক্ষ্য অর্জনের কাজে মনোনিবেশ করেছে দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম। এনসিপি নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোট করার লক্ষ্য নিয়েই দল গোছাচ্ছেন তারা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য যেসব শর্ত দেয়া আছে, তা হলো ন্যূনতম ২১ জেলা ও ১০০টি উপজেলায় কমিটি ও কার্যালয় থাকতে হবে। পাশাপাশি, প্রতিটি উপজেলা সদস্য হিসেবে অন্তত দুইশজন ভোটারের অন্তর্ভুক্তি থাকতে হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে এখনো রাজনৈতিক সুরাহা না হলেও অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ বছরের ডিসেম্বরকেই ইঙ্গিত করা হচ্ছে। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অক্টোবরে তফশিল ঘোষণা। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগেই নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়া নির্বাচন কমিশনের রুটিন কার্যক্রম। অক্টোবরের যদি সংসদ নির্বাচনের তফশিল হয়, তাহলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলটির সামনে এখন নানা বাস্তবতা। তবে এনসিপির জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ দলের সদস্য সংগ্রহ, জেলা উপজেলায় কমিটি এবং কার্যালয় স্থাপন।

এসব কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে দলের নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকদিনের মধ্যে দলীয় ফোরামের ব্যস্ততা শুরু হবে বলে জানান এনসিপির মুখ্য সংগঠক।

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘একটা পার্টিকে রেজিস্ট্রেশন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য যে ধরনের শর্তাবলি রয়েছে আমরা বিশ্বাস করি মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমরা আমাদের কাছে আত্মবিশ্বাসী যে এই শর্তাবলি আমরা পূরণ করতে পারবো।’

তবে জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী বাস্তবতায় রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শর্ত আরো শিথিল করার পক্ষে মত রয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. আব্দুল আলীম বলেন, ‘বর্তমানে নিবন্ধনের জন্য যেসব শর্ত দেয়া আছে এইগুলোকে একটু শিথিল করার চেষ্টা করেছি। এখন ১০ শতাংশ জেলা ও ৫ শতাংশ উপজেলায় কার্যালয় ও একইসঙ্গে সর্বনিম্ন ৫ হাজার সদস্য থাকে তাহলে আমরা তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনার সুপারিশ করেছি।’

এদিকে নিবন্ধন, সাংগঠনিক কাঠামোন তৈরির পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোট করার প্রস্তুতির কথাও জানালেন এনসিপির এই শীর্ষ নেতা।

মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ আমাদের ৩০০ আসন টার্গেট করে রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালিত হবে।’

তবে, জাতীয় নাগরিক পার্টি কোনো জোটে যাবে নাকি তাদের নেতৃত্বেই নতুন জোট হবে- সেটি দলীয় ফোরামে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

Comments (0)
Add Comment