৩টি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্টি হতে পারে এমন তিনটি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করেছে।

সোমবার (১২ মে) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই তথ্য প্রকাশ করে।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম হলো শক্তি (Shakti), মোন্থা (Montha) এবং সেনিয়ার (Senyar)।

শক্তি (Shakti) নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া। এই নামটি পছন্দ করা হয়েছে, কারণ এটি শক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঘূর্ণিঝড় যখন আঘাত হানে, তখন তার গতি ও শক্তি একটি বিশাল প্রভাব সৃষ্টি করে। শক্তি শব্দটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রাকৃতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা একদিকে বিপদজনক, তবে অন্যদিকে সাহসী ও শক্তিশালী প্রতিরোধের বার্তা বহন করে।

মোন্থা (Montha) নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। এটি মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় তাপপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত একটি নাম। এই নামটি ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্রে উজ্জ্বল এবং ধ্বংসাত্মক শক্তির ইঙ্গিত দেয়। এটি পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের আবহাওয়ার প্রতি একটি সর্তক সংকেত হিসেবেও কাজ করে।

এছাড়া, সেনিয়ার (Senyar) নামটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেওয়া। এটি একটি শক্তিশালী নাম, যা বিপদ এবং পরিস্থিতির প্রতি দৃঢ়তার প্রতীক। ঘূর্ণিঝড়ের আগমনের জন্য এই নামটি সংকেত দেয় যে, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে এবং মানুষের জন্য প্রস্তুতি নেয়া জরুরি।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) ২০০০ সালে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের পার্শ্ববর্তী ১৩টি দেশের প্রস্তাবনায় ১৬৯টি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণ করে। এই প্রক্রিয়া একটি সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে, যেখানে ঘূর্ণিঝড়ের নাম পূর্ব থেকে নির্ধারিত থাকে। ফলে, যখনই কোনো ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে, তখন তার নাম নির্ধারণ করা হবে পূর্বে বাছাই করা তালিকা থেকে। এতে সহজে তথ্য সরবরাহ এবং পূর্বাভাসের মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করা সম্ভব হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরঘূর্ণিঝড়