আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ভূমিসহ ঘর দেওয়ার কর্মসূচিতে এবার আরও ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব ঘর হস্তান্তর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে দেশের চারটি উপজেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন।
এগুলো হলো- লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প।
এদিন ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন সরকারপ্রধান। এরইমধ্যে সব আয়োজন সম্পন্ন করছে উপজলা প্রশাসন।
সরকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর দিয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ৬৭ হাজার ৮০০ ঘর দেওয়ার কাজ করছে। এরইমধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি দেওয়া হয়েছে। ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি দেবে। পাশাপাশি ৮ হাজার ৬৬৭টি নির্মাণাধীন।
ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো:
পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
উপজেলাগুলো হলো- ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোনার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, জামালপুরে বকশীগঞ্জ, চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগঞ্জ, ফেনীর ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া, বোদা।
এছাড়া দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রাণীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট, বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া নাটোরের বাগাতিপাড়া, পাবনার ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরার মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহম্মদপুর, শালিখা, ঝালকাঠির কাঠালিয়া, পটুয়াখালীর দশমিনা।