ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ২০২৬ সালের জুনের ভেতর শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তুরাগ থানাধীন ধউর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের স্ট্যাটিকলোড টেস্টের পাইলট পাইলিং উদ্বোধনের সময় এ তথ্য জানান মন্ত্রী। ঢাকার এই দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই প্রকল্পের লোনচুক্তি সম্পন্ন হবে। আমাদের তহবিল সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই। এছাড়া বর্তমানে যে রাস্তাটি আছে, এটা যেভাবে আছে থাকুক। অনেক মানুষ বিকল্প পথ হিসেবে এটি ব্যবহার করে। এখানে মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাস্তা যেন ব্যবহারের উপযোগী থাকে।
এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, ‘আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সব প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। এখানে কোনো নয়ছয় করার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে পাঁচ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা এবং চীন সরকার (জিটুজি) দেবে ১০ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা।’
চার লেন বিশিষ্ট এই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ২৪ কিলোমিটার। এয়ারপোর্ট-আব্দুল্লাহপুর-ধউর-বড় আশুলিয়া-জিরাবো-বাইপাইল হয়ে ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত হবে এর বিস্তৃতি। এর সঙ্গে র্যাম্প হবে ১০.৮৪ কিলোমিটার, নবীনগরে ১.৯১৫ কিলোমিটার, চার লেনের ২.৭২ কিলোমিটার সেতু ও ১৮ কিলোমিটার ড্রেন। প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিনসহ প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।