১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত সুন্দরবন

৬ মাস বন্ধ থাকার পর

দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকালে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শর্ত সাপেক্ষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ভ্রমণকালে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি। পরিধান করতে হবে মাস্ক, ২৫ জন করে গ্রুপে ভাগ হয়ে নৌযান থেকে বনে নামতে হবে এবং ঘুরতে হবে। এক সাথে বেশি লোক নামা ও ঘুরাফেরা করা যাবে না। যারা এ সকল শর্ত ভঙ্গ করবেন অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বনবিভাগ।

গত ৩ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকায় ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ৫ মাস ২৭ দিনে বনবিভাগ প্রায় ২০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর মাত্র একদিন পর খুলবে সুন্দরবন, তাই বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে ফুটট্রেইলার ও ওয়াচটাওয়ারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ব্যবহার না হওয়াতে ময়লা জমে ও ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ হাওলাদার আজাদ কবির জানান, ‘ডিএফও (বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন) স্যার বলেছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তাই সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন। আমাদের করমজলে যেখানে যে সমস্যা আছে তা আমরা ঠিক-ঠাকের কাজ করছি। পর্যটকরা আসা মাত্রই আমরা তাদের যথেষ্ট সেবা দিতে সক্ষম হবে।’

প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ট্যুর অপারেটররাও। তারা ধুয়ে-মুছে ও ক্রুটি সারিয়ে নিচ্ছেন নৌযানগুলোর। পর্যটন ব্যবসায়ী দ্য সাউদার্ন ট্যুরসের মালিক মো. মিজানুর রহমান বলেন, করোনার কারণে সুন্দরবন বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। এখন খুলে দেওয়ার পাশাপাশি যে সকল শর্ত দেওয়া হয়েছে তা আমারা প্রতিপালন করেই ট্যুর অপারেট করবো ইনশাল্লাহ।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণেই গত ৩ এপ্রিল থেকে সংক্রমণের বিস্তার রোধে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়াতে প্রায় ৬ মাস পর উম্মুক্ত করা হচ্ছে সুন্দরবন।

Comments (0)
Add Comment