১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজার এবং বায়োটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)। বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
শুক্রবার এই অনুমোদন দেয়া হয়। এটিই ইউরোপে শিশুদের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম করোনা ভ্যাকসিন।
ইইউর এই অনুমোদনের পর ইউরোপে টিকাদান কর্মসূচির আরও অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী মাস থেকেই জার্মানি ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির টিকানীতি–বিষয়ক প্রধান মার্কো ক্যাভালেরি এক সংবাদ সম্মেলনে ১২ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের জন্য ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার কথা জানিয়েছেন। এত দিন পর্যন্ত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইইউ। আমস্টারডামভিত্তিক ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি বলছে, এই টিকা নেয়ার পর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস টুইটে জানান, শিশুদের টিকা দেয়ার বিষয়টি সরকার বাধ্যতামূলক করেনি। টিকা দেয়া না–দেয়ার সিদ্ধান্ত অভিভাবকেরা নেবেন।
ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির প্রধান এমার কুক বলেছেন, আগামী জুন মাসে শিশুদের টিকা দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন পাবে।
ট্রায়ালে ফাইজারের টিকা শিশুদের জন্য খুবই নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা বলেন, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া হলে স্কুল খোলা সহজ হবে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
মডার্না বলছে, ট্রায়ালে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে টিকা কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার পরে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার জুনের প্রথম দিকে টিকা অনুমোদন দেবে বলে তারা আশা করছে।