করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষ বাড়তি খরচের কথা চিন্তা না করে ঝুঁকে পড়েছে আকাশ পথে। ঢাকাসহ দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। অভ্যন্তরীণ রুটে ১২ মে পর্যন্ত ফ্লাইটের সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে।
বর্তমান কক্সবাজার ছাড়া সবগুলো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে চলছে সরকারি-বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট।
রোববার এয়ারলাইন্সের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বুধবার পর্যন্ত শেষ অভ্যন্তরীণ রুটের সব টিকিট। বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত পরিসরে চলছে ফ্লাইট। অভ্যন্তরীণ রুটে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এখন পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি বেবিচক।
জানা গেছে, সড়ক পথে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে আকাশপথে গন্তব্যে ফিরতে প্লেনের টিকিটের কর বেড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কিছু কিছু ট্রাভেল এজেন্সির কর্মীরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে টিকিট কিনছেন।
যশোর রুটে নিয়মিত যাতায়াত করেন আবুল করিম নামে একজন যাত্রী। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে স্থল ও জলপথে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় আকাশ পথে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ফলে অসাধু কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মালিক বা কর্মীরা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছেন।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপদে গন্তব্যে ফিরতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন আকাশ যান। ফলে ফ্লাইটের টিকিট বিক্রির চাপ বাড়ছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত ইউএস বাংলার টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বেবিচক) আসন্ন ঈদ উপলক্ষে যদি বাড়তি ফ্লাইটের অনুমতি দেয় তাহলে নতুন করে টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হবে। তবে এখন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে বাড়তি ফ্লাইটের অনুমতি দেননি বেবিচক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স ও বেসরকারি নভোএয়ারের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়েনি কোনো এয়ারলাইন্সের টিকিটের মুল্য। অনেক সময় যাত্রীরাই তাদের প্রয়োজনে বেশি মুল্যে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট ক্রয়ের চেষ্টা করেন।