ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, হুমকি দেওয়া হলেও ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসব না।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে
বুধবার (১২ মার্চ) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নির্দেশ দেয় ও হুমকি দেয়, তাদের এই আচরণ আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বসব না। যা খুশি তাই করুক।
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শনিবার বলেছিলেন, তেহরানকে আলোচনায় বসানো যাবে না।
এর একদিন আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইরানকে নতুন পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে তেহরানের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে খোলামেলা মনোভাব প্রকাশ করলেও প্রথম মেয়াদে ইরানকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ও তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করেছিলেন।
গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে দুটি উপায়ে মোকাবিলা করা যেতে পারে। হয় সামরিকভাবে একটি চুক্তি করা যেতে পারে, যেন তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে বিরত রাখা যায়।’
অবশ্য ইরান বরাবরই পরমাণু অস্ত্র তৈরির ইচ্ছার কথা অস্বীকার করে আসছে। তবে আইএইএ সতর্ক করেছে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ত্বরান্বিত করছে, যা প্রায় ৯০ শতাংশ অস্ত্র-গ্রেড স্তরের কাছাকাছি।