ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কোনও ইন্ধন ছিল কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কে হারল, কে জিতল সেটি বড় কথা নয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্ন হয়েছে, সেটিই হলো কথা। তবে হিরো আলমকে নিয়ে কোনও ইন্ধন ছিল কি না, আমরা সেটিই বের করতে চেষ্টা করেছি। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের পর আমরা বলতে পারবো। এ থেকে ম্যাসেজ এলো, আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। একই সঙ্গে হিরো আলমের ওপর হামলাকারী আরও গ্রেপ্তার হবে।
হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন, তা নিয়ে আজ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি টুইট করেছেন, বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হিরো আলম যে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন, সে বিষয়টি তিনি জানতে চেয়েছেন। আমরা বললাম, এটা কেন হয়েছে, এখনই বলতে পারব না। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা ছিল, যেন একটি শান্তিময় পরিবেশ থাকে। আমরা যেটুকু দেখেছি নির্বাচনের শেষের দিকে কয়েকজনের সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হন তিনি এবং লিপ্ত হয়েই দেখা গেল কয়েকজন যুবক তার ওপর অ্যাটাক করে।
‘আমরা তাকে জানিয়েছি, ইতোমধ্যে আট জনকে গ্রেপ্তার করেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। এটা তদন্ত করে বের করতে চেষ্টা করব, এ রকম একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কার মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটানো হলো। এসব আমরা বের করবো’ বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচনে একদল জিতবে, একদল হারবে। নেপথ্যে কারা এই কাজটি করেছে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য, কিংবা কী উদ্দেশ্যে করেছে, তা জানার প্রয়োজন রয়েছে, জানার চেষ্টা করছি। যাদের ধরেছি, তাদের জবানবন্দি নেব। আমরা সবকিছুই মিলিয়ে দেখব।
পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, পুলিশের গাফিলতি থাকলে সেটি তো পুলিশ জবাব দেবে। আমরা সেটি দেখব। যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয়, কোনও কেন্দ্রে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য পুলিশ সেখানে ছিল। পুলিশের যদি কোনও গাফিলতি থাকে অবশ্যই আমরা সেটি দেখব। অলরেডি পুলিশকে আমরা বলেছি, তোমাদের কোনও অবজারভেশন আছে কি না, সেটি তোমরা জানাবে। মূল ঘটনাটি কী, তা জানতে চাই।