হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যার দাবি ইসরাইলের

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত ওই কমান্ডারের নাম আলি মুহম্মদ আল-দাবস।

হিজবুল্লাহর অন্যতম এলিট শাখা আল-হজ রাদওান ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার ছিলেন আল-দাবস। শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ এ দাবি জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, বুধবার রাতে দক্ষিণ ইসরাইলের নাবাতিয়েহতে তাদের বিমান বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলায় সহকারী হাসান ইব্রাহিম এবং একজন হামাস কমান্ডারসহ নিহত হয়েছেন আল-দাবস।

২০২৩ সালের মার্চে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে মেগিডো সড়ক জংশনে বোমা হামলা হয়েছিল। আল-দাবস সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে আইডিএফ।

হিজবুল্লাহ লেবাননভিত্তিক হলেও এই গোষ্ঠীটির আল-হজ রাদওয়ান ফোর্সের যোদ্ধারা নাম-পরিচয় গোপন করে এবং সাধারণ বেসামরিকের বেশে ইসরাইলে অবস্থান করেন। মূলত ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনায় চোরাগুপ্তা হামলা চালানোই এই শাখার প্রধান মিশন।

গত অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরুর প্রায় এক মাস পর থেকে ইসরাইলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র-রকেট-ড্রোন ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই হামলা চালানো হচ্ছে।

হিজবুল্লাহর হামলার জবাবে লেবাননে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইলের বিমান বাহিনীও। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে লেবানন ও ইসরাইলি ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ব্যাপক সংঘাত চলছে ইসরাইলি বাহিনীর।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে যায়। অভূতপূর্ব সেই হামলার পর থেকেই গাজায় অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী।

চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২৯ হাজার। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া ইসরাইলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

Comments (0)
Add Comment