ফরাসি বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এ বছর শীতের মধ্যেই করোনার নতুন একটি ভ্যারিয়্যান্ট বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
ফরাসি সরকারের বিজ্ঞান পরিষদের শীর্ষ কর্মকর্তা জঁ-ফ্রাঁসোয়া দেলফ্রেসি শুক্রবার এ কখা জানান। খবর ফরাসি বার্তা সংস্থা কানেকশনের।
তিনি বলেন, গত বছর প্রথম ঢেউয়ের পর থেকে দ্রুত মিউটেশন ঘটিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একের পর এক স্ট্রেইন তৈরি করেছে করোনাভাইরাস।
সম্প্রতি ডেল্টা স্ট্রেইনের দাপটে বিশ্বে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। এসে গেছে তৃতীয় ঢেউ।
ফ্রান্স অবশ্য জানিয়েছে তারা চতুর্থ ঢেউয়ের মুখে। শুক্রবার ফরাসি সরকারের বিজ্ঞান পরিষদের শীর্ষ কর্মকর্তা শীতের মধ্যেই নতুন ভ্যারিয়্যান্টের আগমন বার্তা জানিয়ে সতর্ক করেছেন।
তবে নতুন ভ্যারিয়্যান্ট কতটা সংক্রামক হবে, ডেল্টার থেকেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে কিনা সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। ফ্রান্সের মানুষকে আগের মতোই মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দেলফ্রেসির মতে, আগামী কয়েক বছরে পৃথিবীটা দু’দলে ভাগ হয়ে যাবে। এক দল- দেশ যারা টিকা পেয়েছে ও আরেক দল-যারা টিকা পায়নি। এই দুই পৃথিবীর মধ্যে সমন্বয় রেখে চলাই আগামী দিনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
চতুর্থ ঢেউ সামাল দিতে ইতিমধ্যে ‘হেলথ্ পাস’ ব্যবস্থা চালু করেছে ফরাসি সরকার। বুধবার থেকে সিনেমা, জাদুঘর, সুইমিং পুল, ময়দানসহ যে কোনও প্রকাশ্য স্থানে যেতে গেলে হয় কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বা টিকাদান শংসাপত্র দেখাতে হচ্ছে।
রেস্তরাঁ, ক্যাফেতে এই পাস চালু করতে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিযুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে টিকাদান নিশ্চিত করতে শুক্রবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে খসড়া আইন পেশ করা হয়েছে। তবে দেশবাসীর একটা অংশ নতুন কড়াকড়িতে বিরক্ত। তারা কোভিড-বিধি লাঘব করার দাবিতে প্যারিসসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন।
এ দিকে সিডনিতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংক্রমণ ঘটেছে। করোনা এতোটাই ছড়িয়েছে যে শুক্রবার সেখানে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
দেশটিতে এ পর্যন্ত মাত্র ১২ শতাংশ মানুষের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। পর্যাপ্ত টিকাদানের অভাবেই যে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে তা মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এ জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি