প্রাণবন্ত ও স্বাভাবিক একজন মানুষের মতই কাজে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রাশীদ মাহমুদ। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তিনি গবেষণার জন্য ফিল্ডওয়ার্কে ছিলেন। কিন্তু বুধবার (৩১ মার্চ) হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকে তিনি মারা যান।
ঢাবি নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারহানা বেগম অধ্যাপক রাশীদ মাহমুদের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নৃবিজ্ঞান বিভাগ সূত্র জানায়, অধ্যাপক রাশীদ মাহমুদ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গবেষণার জন্য ফিল্ডওয়ার্কে ছিলেন। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্যামনগর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তাকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কী কারণে তিনি মারা গেছেন তা ময়নাতদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইমতিয়াজ জানান, সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন রাশীদ মাহমুদ। এরপর সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গিয়েছিলেন গবেষণার কাজে। সেখানেই হঠাৎ করে স্ট্রোক করেন তিনি। এরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এদিকে অধ্যাপক রাশীদ মাহমুদের মৃত্যুর পর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এইমাত্রই জানতে পারলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকর্মী রাশীদ মাহমুদ আমাদের মাঝে আর নেই।’
তিনি লেখেন, ‘কতবার যে ফোনে কত বিষয়ে কথা হয়েছে! কত স্মৃতি। এমন সদা হাস্যময় একজন তরতাজা মানুষ এমনিভাবে নাই হয়ে যাবে? বিশ্বাস করতে পারছি না। মনে হচ্ছে হঠাৎ করে সব লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে। তাঁর পরিবারকে কি ভাষায় সমবেদনা জানাব?’
অধ্যাপক রাশীদ মাহমুদের পৈতৃক বাড়ি ফেনী জেলায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।