বগুড়ার শাজাহানপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শ্যালিকা-দুলাভাই এক সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার ঢাকার একটি হাসপাতালে তারা মারা যান। নিহতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের দারিকামাড়িপাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে জান্নাতী ফেরদৌস মাওয়া (১৩) এবং তার ভগ্নিপতি ধুনট উপজেলার ঢেকুরিয়া গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন ওরফে রিপন (৩৫)।
নিহতের স্বজনরা জানান, ফুফাতো বোনের বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য জান্নাতী ফেরদৌস মাওয়া তার বড়বোনের স্বামী বিপ্লব হোসেনের সাথে গত ২৩ আগস্ট বগুড়া শহরে যান কেনাকাটার জন্য। কেনাকাটা শেষ করে সন্ধ্যার দিকে সিএনজিচালিত অটো-টেম্পুযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। পথিমধ্যে উপজেলার সাজাপুর রাধারঘাট এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একই দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক পেছন দিক থেকে অটো-টেম্পুকে সজোরে ধাক্কা মারে। এসময় অটো-টেম্পু ছিটকে পড়ে গিয়ে শ্যালিকা ও দুলাভাই গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদেরকে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে জান্নাতী ফেরদৌস মাওয়া পরে বিপ্লব হোসেনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসায় দুলাভাই বিপ্লব হোসেন আশঙ্কামুক্ত হলেও জান্নাতী ফেরদৌস মাওয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এমতাবস্থায় দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পর সোমবার বিকেলে প্রথমে জান্নাতী ফেরদৌস মাওয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে শ্যালিকা মারা যাওয়ার খবর শুনে দুলাভাই বিপ্লব হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনিও সন্ধ্যার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শ্যালিকা-দুলাভাইয়ের একসাথে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুজনের মৃত্যুর খবর তিনি জানতে পেরেছেন।