অ্যালকোহল বা মাদক সেবন করে গাড়ি চালান এমন চালকদের জন্য বিশ্বে প্রথম আনা হয়েছে এক যুগান্তকারী এআই ক্যামেরা। যা মদ্যপ চালকদের সহজেই টার্গেট করতে পারবে বলে দাবি এর নির্মাতাদের। ডিসেম্বর মাস জুড়ে এই ক্যামেরার ট্রায়াল চলবে। খবর বিবিসির।
অত্যাধুনিক এই ‘হেডস-আপ’ মেশিনটি মদ্যপান বা মাদক সেবন করেছেন এমন চালকদের টার্গেট করতে কাজ করবে এবং রাস্তায় চালকদের ব্যবহার এবং আচরণও শনাক্ত কররে এটি।
পুলিশরা চাইলে চলতি পথে গাড়ি থামাতে, চালকের সঙ্গে কথা বলতে, অ্যালকোহল ও অবৈধ মাদকের জন্য রাস্তার পাশে তাদের পরীক্ষাও করতে পারবেন এ ক্যামেরার মাধ্যমে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্যামেরা নির্মাতা কোম্পানি ‘অ্যাকিউসেনসাস’-এর মহাব্যবস্থাপক জিওফ কলিন্স বলেছেন, আমরা এখানে অর্থাৎ ডেভন ও কর্নওয়ালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ক্যামেরাটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরে আনন্দিত।
সতর্কতা ছাড়াই যে কোনো কাউন্টির যে কোনো সড়কে দ্রুত সরানো যাবে ক্যামেরাটিকে। এমনকি চালকদের অজান্তেই তাদের চিহ্নিত করা যাবে এ ক্যামেরার মাধ্যমে, যতক্ষণ না পুলিশ তাদের ধরে ফেলছে।
কলিন্স বলেছেন, কারো মুত্যু হতে পারে এমন কোনো ঘটনা ঘটার আগেই আমরা যদি তা শনাক্ত করতে পারি তাহলে আমরা সবাই নিরাপদ থাকব।
এর আগে, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহার বা সিটবেল্ট না পরা চালকদের ধরতে ক্যামেরার ব্যবহারে পুলিশকে সহায়তা করেছে ‘অ্যাকিউসেনসাস’।
মদ্যপ চালকদের মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়ার সম্ভাবনা ছয়গুণ বেশি তাই ডেভন ও কর্নওয়াল কাউন্টির পুলিশ আশা করছে, জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে অ্যাকিউসেনসাসের এই ‘হেডস-আপ’ ক্যামেরাটি।
আমাদের কর্মীদের পক্ষে সব জায়গায় থাকতে পারা সম্ভব নয়, বলেছেন সেখানকার পুলিশ সুপার সাইমন জেনকিনসন। ডেভন ও কর্নওয়াল কাউন্টি দুটির ১৪ হাজার মাইল দীর্ঘ রাস্তাজুড়ে পুলিশের দায়িত্বে রয়েছে তার দল।
সাইমন বলেন, ভিশন জিরো সাউথ ওয়েস্ট রোড সেইফটি পার্টনারশিপের সদস্য হিসেবে আমরা সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ও গুরুতর আহত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য কাজ করব। এসব ক্যামেরার মতো উদীয়মান প্রযুক্তিকে গ্রহণ করা সেই কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।