বাঙালির সাহসিকতা, বীরত্ব, অশ্রু ও আত্মত্যাগে মহিমান্বিত অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বর। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে স্বাধীনতার জন্য জীবনদানকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে সব শ্রেণি-পেশা মানুষের ঢল নামে জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
শীতের কুয়াশা ঠেলে একের পর এক ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করতে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেচ্ছাসেবীসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। একে একে শ্রদ্ধায় সিক্ত হতে থাকে শহীদ বেদী।
শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন আশুলিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন মন্ডল। তিনি বলেন, আজ স্মৃতিসৌধে গণমানুষের ঢল নেমেছে। সবাই একে একে নিবেদন করছেন শ্রদ্ধা। আমি আমার সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছি।
আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু আমার সহযোদ্ধারা এই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে জীবন দিয়েছেন। তাঁরা দেখে যেতে পারেননি স্বাধীনতা। তবে আজ তাঁরা সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধায় সিক্ত। এটাও আমার কাছে বড় পাওয়া।
আলতাফ বলেন, আমরা দিনভর কারখনায় কাজের চাপে থাকি। বছরে দুইবার আমরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা বীর শহীদদের স্মরণ করার সুযোগ পাই। আজ তাই পুরো পরিবার নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে আসলেই গর্বে বুকটা ভরে যায়।
গাজীপুর থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা শাহীন বলেন, আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যারা যুদ্ধ করেছেন, দিয়েছেন দেশের জন্য প্রাণ, তাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা প্রয়োজন। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে আমি প্রতিবারই আসি।
এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে স্মৃতিসৌধসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।